পৃথক লেনে বিআরটিসির পর্যাপ্ত বাস শীর্ষক আলোচনা সভা
ঢাকার যানজট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে বিগত কয়েক বছরে ফ্লাইওভার, ওভার পাসসহ নানা বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রাইভেট গাড়ী বান্ধব বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গণপরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি না করে প্রাইভেট গাড়ী বান্ধব অবকাঠামো ও বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রতি অবহেলার প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মানুষ দুভোর্গের শিকার হচ্ছে।
নব্বই দশকে ঢাকার পাবলিক পরিবহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার, ২০০৮ সালে ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার। নানা সমস্যার কারণে ২০১৫ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজারে ।
রাজধানীতে দিনে অন্তত ৬ লাখ মানুষ নানা প্রয়োজনে আসছেন এই শহরে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তাই দিনে অন্তত ২১ লাখ পরিবহন ট্রিপের প্রয়োজন। কিন্তু যানজটে ২১ লাখের তিনভাগের একভাগ ট্রিপও হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীর প্রতি ৩ হাজার যাত্রী যাতায়াতের জন্য বাস ও মিনিবাস আছে মাত্র ১টি। তাছাড়া অটোরিক্সাগুলোর এক-তৃতীয়াংশ অচল। গণপরিবহনের সঙ্কটের বিপরীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় প্রতিদিন নামছে ৩১৭ টি প্রাইভেট কার।
জাইকা’র তিনটি রুটে পরিচালিক এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় পাবলিক বাসে প্রতিদিন প্রায় ১৯লক্ষ যাত্রী চলাচল করে। এছাড়া গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার তিনটি করিডোরে পাবলিক বাসে যাতায়াতের জন্য গড়ে ৭৭ মিনিট করে সময় লাগে। যার ২৪% বাসের জন্য অপেক্ষা, ৪৪% বাসে ওঠা-নামা এবং বাস পরিবর্তন এবং ৩২% সময় বাসে চলন্ত অবস্থায় ব্যয় হয়।
ঢাকা মহানগরীতে যানজট হ্রাসে গণপরিবহণের দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে অপেক্ষার সময়, বাসে ওঠানামা ও বাস পরিবর্তনের সুবিধা সৃষ্টি পাশাপাশি বাসের জন্য পৃথক লেন করা গেলে বাসে যাতায়াতের সময় অনেক কমে আসবে। যা মানুষকে বাস ব্যবহারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বাসের সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।
পাবলিক বাস সার্ভিসের বর্তমান অবস্থা:
* ঢাকার বর্তমান পাবলিক বাস পরিচালনা ব্যবস্থা পরিকল্পিত নয় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
* বাস কোম্পানী কর্তৃক সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
* সঠিকভাবে বাস রুট ডিজাইন ও বরাদ্দ দেয়া হয় নি।
* বাস স্টপেজের সঙ্গে বাসা ও অফিসের মধ্যবর্তী যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেই।
* বাস স্টপেজের নির্দ্দিষ্টতা নেই এবং যাত্রী ছাউনী না থাকা রোদ বৃষ্টিতে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
* রেলওয়ে স্টেশন, নৌ-টার্মিনাল ও দূরপাল্লার বাস টার্মিনালের সঙ্গে সিটি বাসের সমন্বয় নেই।
* নারী, শিশু, বুদ্ধ, প্রতিবন্ধিসহ সকলের বাসে ওঠা-নামার সুবিধা নেই। এমনকি অনেক সময় চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নামানোর কারণে যে কারো পক্ষে কাজটি অত্যন্ত কঠিন এবং যে কোন সময় দর্ঘটনা ঘটতে পারে।
* সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান সম্ভব হয়নি বিধায় পাবলিক বাসের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায়নি।
গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বপ্ন ও সম্ভাবনা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাজধানীর মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে চার হাজার পাবলিক বাস চালু করার আশ^াস দিয়েছেন । রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি প্রায় ৪০০ বাস কেনার প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান সড়কে প্রাইভেট গাড়ীর জটের কারণে এ সকল অতিরিক্ত পরিবহনও জনগণকে কাঙ্গিত সুবিধা দিতে পারবে না। তাই এখনই ঢাকা পাবলিক পরিবহন চালনের জন্য পৃথক লেন তৈরির পরিকল্পনা প্রয়োজন।
ঢাকা নগরে বিআরটিসি-র পরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব ডিপো এবং তুলনামূলক মানসম্মত বাস থাকায় বিদ্যমান যানজট নিরসনে পরীক্ষামূলকভাবে কতিপয় রাস্তায় পৃথক লেনে বিআরটিসি বাস চালানোর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করছি।
আমাদের সুপারিশ সমূহ
যাত্রীর যাতায়াত সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার সম্ভব হলে গণপরিবহনের ব্যবস্থাপনা সহজতর হবে। বর্তমানে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সী বিশ্লেষণ করে বা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীদের যাতায়াতের চাহিদা নিরুপন করা সম্ভব।
১) যাত্রীর চাহিদা নিরুপন
ক) মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ঢাকার জনগনের নিকট হতে তাদের প্রতিদিনের যাতায়াত স্থানের তথ্য সংগ্রহ;
খ) মোবাইল ফ্রিকুয়েন্সী বিশ্লেষনের মাধ্যমে উপরের সংগৃহীত তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা;
গ) রেল, বাস, নৌ-পথের সাথে সমন্বয় রেখে বিআরটিসি-র বাস পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ;
২) বাসের জন্য পৃথক লেন
ক) ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর যোগ্য ডিভাইডার দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন তৈরি;
খ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে পৃথক লেনে অন্য যানবাহন প্রবেশ না করতে নির্দেশনা প্রদান;
গ) মন্ত্রী, বিচারপতি, এমপি, সচিব পর্দমর্যাদার ব্যক্তিরা শুধুমাত্র এই লেন ব্যবহার করার সুবিধা প্রধান;
৩) বাস ব্যবস্থাপনা
ক) মোবাইল অ্যাপস এর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যাত্রীর চাহিদা অনুসারে ঢাকার বিভিন্ন রুটে বিআরটিসি বাস প্রদান;
খ) পৃথক লেনে শুধুমাত্র বিআরটিসি বাস চলাচল করতে পারবে;
গ) বাসগুলোর চালাচল জিপিআরএস এর মাধ্যমে নজরদাড়িতে রাখা;
ঘ) কোন স্বার্থানেষী গোষ্ঠী বিআরটিসি-র বাস চালাচল যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা করা;
৪) পৃথক লেনে বাসের সুবিধা
১) পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে;
২) যানজট নিয়ন্ত্রণ হবে;
৩) প্রাইভেট গাড়ীর ব্যবহার হ্রাস পাবে;
৪) পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে;
৫)পরিবহনখাতে সামাজিক সমতা নিশ্চিত হবে;
পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা (বাস, ট্রেন ইত্যাদি) যা রাস্তায় কম জায়গা দখল করে অধিক যাত্রী বহন করতে পারে এবং একই সাথে অধিক দূরত্বের যাতায়াতকে সাচ্ছন্দ্য করবে। আমরা প্রত্যাশা করি ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে, প্রাইভেট গাড়ীর ব্যবহার হ্রাস পাবে, পরিবেশের আরো উন্নত হবে।
ঢাকার যানজট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে বিগত কয়েক বছরে ফ্লাইওভার, ওভার পাসসহ নানা বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রাইভেট গাড়ী বান্ধব বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গণপরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি না করে প্রাইভেট গাড়ী বান্ধব অবকাঠামো ও বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রতি অবহেলার প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মানুষ দুভোর্গের শিকার হচ্ছে।
নব্বই দশকে ঢাকার পাবলিক পরিবহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার, ২০০৮ সালে ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার। নানা সমস্যার কারণে ২০১৫ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজারে ।
রাজধানীতে দিনে অন্তত ৬ লাখ মানুষ নানা প্রয়োজনে আসছেন এই শহরে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তাই দিনে অন্তত ২১ লাখ পরিবহন ট্রিপের প্রয়োজন। কিন্তু যানজটে ২১ লাখের তিনভাগের একভাগ ট্রিপও হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীর প্রতি ৩ হাজার যাত্রী যাতায়াতের জন্য বাস ও মিনিবাস আছে মাত্র ১টি। তাছাড়া অটোরিক্সাগুলোর এক-তৃতীয়াংশ অচল। গণপরিবহনের সঙ্কটের বিপরীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় প্রতিদিন নামছে ৩১৭ টি প্রাইভেট কার।
জাইকা’র তিনটি রুটে পরিচালিক এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় পাবলিক বাসে প্রতিদিন প্রায় ১৯লক্ষ যাত্রী চলাচল করে। এছাড়া গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার তিনটি করিডোরে পাবলিক বাসে যাতায়াতের জন্য গড়ে ৭৭ মিনিট করে সময় লাগে। যার ২৪% বাসের জন্য অপেক্ষা, ৪৪% বাসে ওঠা-নামা এবং বাস পরিবর্তন এবং ৩২% সময় বাসে চলন্ত অবস্থায় ব্যয় হয়।
ঢাকা মহানগরীতে যানজট হ্রাসে গণপরিবহণের দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে অপেক্ষার সময়, বাসে ওঠানামা ও বাস পরিবর্তনের সুবিধা সৃষ্টি পাশাপাশি বাসের জন্য পৃথক লেন করা গেলে বাসে যাতায়াতের সময় অনেক কমে আসবে। যা মানুষকে বাস ব্যবহারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বাসের সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।
পাবলিক বাস সার্ভিসের বর্তমান অবস্থা:
* ঢাকার বর্তমান পাবলিক বাস পরিচালনা ব্যবস্থা পরিকল্পিত নয় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
* বাস কোম্পানী কর্তৃক সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
* সঠিকভাবে বাস রুট ডিজাইন ও বরাদ্দ দেয়া হয় নি।
* বাস স্টপেজের সঙ্গে বাসা ও অফিসের মধ্যবর্তী যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেই।
* বাস স্টপেজের নির্দ্দিষ্টতা নেই এবং যাত্রী ছাউনী না থাকা রোদ বৃষ্টিতে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
* রেলওয়ে স্টেশন, নৌ-টার্মিনাল ও দূরপাল্লার বাস টার্মিনালের সঙ্গে সিটি বাসের সমন্বয় নেই।
* নারী, শিশু, বুদ্ধ, প্রতিবন্ধিসহ সকলের বাসে ওঠা-নামার সুবিধা নেই। এমনকি অনেক সময় চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নামানোর কারণে যে কারো পক্ষে কাজটি অত্যন্ত কঠিন এবং যে কোন সময় দর্ঘটনা ঘটতে পারে।
* সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান সম্ভব হয়নি বিধায় পাবলিক বাসের সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায়নি।
গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বপ্ন ও সম্ভাবনা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাজধানীর মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে চার হাজার পাবলিক বাস চালু করার আশ^াস দিয়েছেন । রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি প্রায় ৪০০ বাস কেনার প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান সড়কে প্রাইভেট গাড়ীর জটের কারণে এ সকল অতিরিক্ত পরিবহনও জনগণকে কাঙ্গিত সুবিধা দিতে পারবে না। তাই এখনই ঢাকা পাবলিক পরিবহন চালনের জন্য পৃথক লেন তৈরির পরিকল্পনা প্রয়োজন।
ঢাকা নগরে বিআরটিসি-র পরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব ডিপো এবং তুলনামূলক মানসম্মত বাস থাকায় বিদ্যমান যানজট নিরসনে পরীক্ষামূলকভাবে কতিপয় রাস্তায় পৃথক লেনে বিআরটিসি বাস চালানোর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করছি।
আমাদের সুপারিশ সমূহ
যাত্রীর যাতায়াত সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার সম্ভব হলে গণপরিবহনের ব্যবস্থাপনা সহজতর হবে। বর্তমানে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সী বিশ্লেষণ করে বা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীদের যাতায়াতের চাহিদা নিরুপন করা সম্ভব।
১) যাত্রীর চাহিদা নিরুপন
ক) মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ঢাকার জনগনের নিকট হতে তাদের প্রতিদিনের যাতায়াত স্থানের তথ্য সংগ্রহ;
খ) মোবাইল ফ্রিকুয়েন্সী বিশ্লেষনের মাধ্যমে উপরের সংগৃহীত তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা;
গ) রেল, বাস, নৌ-পথের সাথে সমন্বয় রেখে বিআরটিসি-র বাস পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ;
২) বাসের জন্য পৃথক লেন
ক) ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর যোগ্য ডিভাইডার দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন তৈরি;
খ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে পৃথক লেনে অন্য যানবাহন প্রবেশ না করতে নির্দেশনা প্রদান;
গ) মন্ত্রী, বিচারপতি, এমপি, সচিব পর্দমর্যাদার ব্যক্তিরা শুধুমাত্র এই লেন ব্যবহার করার সুবিধা প্রধান;
৩) বাস ব্যবস্থাপনা
ক) মোবাইল অ্যাপস এর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যাত্রীর চাহিদা অনুসারে ঢাকার বিভিন্ন রুটে বিআরটিসি বাস প্রদান;
খ) পৃথক লেনে শুধুমাত্র বিআরটিসি বাস চলাচল করতে পারবে;
গ) বাসগুলোর চালাচল জিপিআরএস এর মাধ্যমে নজরদাড়িতে রাখা;
ঘ) কোন স্বার্থানেষী গোষ্ঠী বিআরটিসি-র বাস চালাচল যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা করা;
৪) পৃথক লেনে বাসের সুবিধা
১) পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে;
২) যানজট নিয়ন্ত্রণ হবে;
৩) প্রাইভেট গাড়ীর ব্যবহার হ্রাস পাবে;
৪) পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে;
৫)পরিবহনখাতে সামাজিক সমতা নিশ্চিত হবে;
পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা (বাস, ট্রেন ইত্যাদি) যা রাস্তায় কম জায়গা দখল করে অধিক যাত্রী বহন করতে পারে এবং একই সাথে অধিক দূরত্বের যাতায়াতকে সাচ্ছন্দ্য করবে। আমরা প্রত্যাশা করি ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে, প্রাইভেট গাড়ীর ব্যবহার হ্রাস পাবে, পরিবেশের আরো উন্নত হবে।