Saturday, July 15, 2017

মশা তাড়াতে বাসায় প্রাকৃতিক উপায়



মশা নিয়ে সবাই চিন্তিত। মশা তাড়ানোর দায়িত্ব নাগরিকের !!! তাই ভাবলাব কিছু প্রাকৃতিক উপায় খুজে দেখি। ইন্টারনেটে গেটে কিছু তথ্য পেলাম পরীক্ষা করা হয়নি, নিজ দায়িত্ব প্রয়োগ করবেন!!!
নিম তেল
নিম তেল আর নারকেল তেল সম পরিমাণে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে মেখে নিন। এবার সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে ঘুমিয়ে পড়ুন।কারণ শরীর থেকে যে গন্ধ বের হয় তা মশা দূরে রাখতে দারুন কার্যকর।অন্তত আট ঘণ্টা আপনার কাছে মশাকে ভিড়তে দিবে না।

ইউক্যালিপটাস-লেবু তেল
ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেলে একধরনের উপাদান পাওয়া যায় যার নাম ‘cineole’। সম পরিমাণে ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার গায়ে মেখে নিলে যে যেকোনো পোকামাকড় আপনার থেকে দূরে থাকবে।সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াতে এই উপকরণের জুড়ি নেই।

রসুন
মশা তাড়ানোর অন্যতম উপাদান হচ্ছে রসুন। রসুনের শক্তিশালী এবং তীব্র কটু গন্ধই মশার কামড় থেকে বাঁচতে এবং ঘরকে মশা মুক্ত করতে যথেষ্ট উপকারী ভূমিকা রাখে। কিছু রসুনের কোষ নিয়ে তা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পুরো ঘরে স্প্রে করে দিতে হবে। মশা থেকে দূরে থাকতে চাইলে নিজের শরীরেও এই পানি স্প্রে করা যেতে পারে।

লেবুর তেল
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) দ্বারা স্বীকৃত লেবু এবং ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রন প্রাকৃতিক ভাবে মশাকে দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। লেবুর তেল এবং ইউক্যালিপটাস তেলের মধ্যে cineole নামক একটি কার্যকরী উপাদান রয়েছে যা ত্বকে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ইনসেক্ট রিপিলেন্ট হিসেবে কাজ করে। সমান অনুপাতের ইউক্যালিপটাস তেল এবং লেবুর তেলের মিশ্রন গায়ে লাগিয়ে রাখলে মশা দূরে থাকবে।

পুদিনা
বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষনায় দেখা গেছে, যে পুদিনার তেল এবং পুদিনার নিষ্কর্ষ ইনসেক্ট রিপিলেন্ট হিসাবে ভালো কাজ করে। পুদিনা পাতাকে বাষ্পায়িত করে পুরো ঘরে বাষ্প ছড়িয়ে এবং পুদিনার তেল শরীরে মেখে মশা থেকে বাঁচা যায়। পুদিনা গাছ জানালার পাশে লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া পুদিনা ফ্লেভারসমৃদ্ধ মাউথ ওয়াশ পানির সাথে মিশিয়ে ঘরের চারিদিকে স্প্রে করলে মশা দূরে থাকবে।

তুলসি
প্যারাসাইটোলোজি রিসার্চ জার্নালের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মশার শুককীট মারতে এবং মশাকে দূরে রাখতে তীব্র ভাবে কাজ করে তুলসী। ঘরের বারান্দায় অথবা জানালার পাশে তুলসী গাছ লাগিয়ে নিলে মশা থেকে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। এই গাছের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যার জন্য মশা ঘরের ভিতর আসবে না।

চা গাছের তেল
ত্বক ও চুলের জন্যও চা গাছের তেলের যথেষ্ট পরিমাণ ভালো দিক রয়েছে। তাছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। চা গাছের তেল মশাকে দূরে রাখার ক্ষেত্রেও অসাধারন কাজ করে। এর তীব্র গন্ধ, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মশা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। চা গাছের তেল শরীরে মেখে অথবা এর কিছু ড্রপ বাষ্পায়িত হিসাবে ব্যবহার করলে বাতাসের মধ্যে চা গাছের তেলের গন্ধ বিরাজ করবে এবং মশাকে দূরে রাখবে।

নিমের তেল
মানব দেহের জন্য নিমের অনেক গুলো ভালো দিক রয়েছে। মশা বিতাড়ক হিসাবেও নিমের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। অ্যামেরিকান মসকিউটো কন্ট্রোল এসোসিয়েশনের(১) একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে, নারিকেল তেলের সাথে নিমের তেলের ১:১ অনুপাতের মিশ্রণ মশা তাড়ানোর একটি কার্যকরী উপায়। নিমের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-প্রটোজোয়াল যা চামড়ায় এক ধরনের মশা বিতাড়ক গন্ধ সৃষ্টি করে। সমান পরিমানের নিমের তেল এবং নারিকেল তেলের মিশ্রন দেহের বহিরাংশে লাগালে মশার কামড় থেকে আট ঘন্টা সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

কর্পূর 
মশা তাড়াবার আরেকটি উপায় হলো কর্পূর। কর্পূরের ব্যবহার মশা বিতাড়ক হিসাবে চমৎকার কাজ করে। অন্যান্য প্রাকৃতিক সমাধানের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী কার্যকরী উপাদান হচ্ছে কর্পূর। খুবই অল্প পরিমাণ কর্পূর ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিয়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট, তাহলে পুরো ঘর মশা মুক্ত হয়ে যাবে।

মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক মশা নিধন পন্য ব্যবহার করে মশা তাড়ানোর চেষ্টা না করে উপরের পদ্ধতিগুলো মানা খুবই স্বাস্থ্যকর এবং এগুলো আমাদের হাতের কাছেই থাকে।

লেমন থাইম: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লেমন থাইমের পাতা গুঁড়া করে ঘরে রাখলে মশার উপদ্রব ৬২ ভাগ পর্যন্ত কমানো যায়।
ল্যাভেন্ডার: শুধু মশা তাড়ানোর জন্য নয়, ল্যাভেন্ডারের রয়েছে আরও প্রচুর গুণ। উত্কণ্ঠা, ব্যথা উপশম, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাতেও দারুণ উপকারী ল্যাভেন্ডার।
লেমন বাম: লেবু পাতার সুগন্ধ যেমন মশা তাড়াতে সাহায্য করে, তেমনই এই গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হার্বাল চা হজমের সমস্যা, ঘুমের সমস্যাতেও উপকারী। তাই বাসার বারান্দায় বা ঘরে লাগাতে পারেন।
তুলসি: নতুন করে তুলসির গুণের কথা বলার প্রয়োজন নেই। তুলসি মশা তাড়াতে সাহায্য করে।

লেমন গ্রাস: এক জাতীয় ঘাস। এই ঘাসের মধ্যে থাকে ন্যাচারাল অয়েল সিনট্রোনেলা, যা মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বাসায় লেমন গ্রাস লাগালে তাই রেহাই পেতে পারেন মশার হাত থেকে।
ক্যাটনিপ: এই পুদিনা জাতীয় গাছকে বলা হয় মশার যম। যে কোনও মসকিউটো রিপেলেন্টের থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী ক্যাটনিপ।

রোজমেরি: বাসায় যদি রোজমেরি গাছ লাগান তাহলে মশার হাত থেকে রেহাই তো পাবেনই, সঙ্গে জুটবে আরও অনেক উপরি পাওনা। সুগন্ধী রোজমেরি শুঁকলে স্মৃতিশক্তি ও মনোসংযোগ বাড়ে। ঔষধী গুণও রয়েছে রোজমেরির। ব্যবহার করতে পারেন রান্নাতেও।

রসুন: রান্নায় স্বাদ বাড়ায়, ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে, রসুনের এই গুণগুলো তো জানতেন। কিন্তু জানতেন কি বাড়িতে রসুন গাছ লাগালে মশার উপদ্রবে থেকেও রেহাই পাওয়া যায়?

গাঁদা: এই ফুল লাগালে শুধু যে দেখতে সুন্দর লাগে তাই নয়, পোকামাকড়ও থাকে শতহাত দূরে। গাঁদা গাছে থাকা পাইরেথ্রামের গন্ধ পোক-মাকড়, মশা সহ্য করতে পারে না। বাগানের চারপাশ জুড়ে লাগাতে পারেন গাঁদা গাছ। শোভাও বাড়বে, মশাও হবে না বাড়িতে।
Source: 
http://www.newsbangladesh.com/details/54374
http://bonikbarta.net/bangla/news/2017-03-08/109249/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87--%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE!/
https://amarhealthbd.wordpress.com/2015/05/05/%E0%A6%AE%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF/
http://amradhaka.com/solution/%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%9C-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87.html