পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশের আজকের অবস্থা পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের ফসল। এ আন্দোলনকে পরিবেশবাদী সংগঠন, গণমাধ্যম, সাধারণ জনগণ এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারী সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইন ও নীতি প্রণয়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ও স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলোর দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অব্যাহতভাবে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। দেশের অনেক স্থানেই মানুষ সংঘবদ্ধভাবে পরিবেশ সংরক্ষণে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনকে কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠিকীকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণে আইন ও পরিবেশ আদালতের গুরুত্ব অনেক।
পরিবেশ সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান
শুধুমাত্র পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয়। বরং রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ পরিবেশ সংরক্ষণে তৃণমুলল পর্যায়ে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবেশ আদালতের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ সংবিধান ও পরিবেশ
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ এ পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রের উপর অত্যাবশ্যকীয়ভাবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১৮ বলা হয়েছে ‘‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন’’। বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের দায়িত্ব।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীন একটি স্বতন্ত্র পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে পরিবেশ সংরক্ষণে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। মহাপরিচালকের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে, পরিবেশ আইনের উদ্দেশ্য পুরণকল্পে কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন, পরিবেশ অবক্ষয় ও দুষণের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক কার্যক্রম, বিপজ্জনক পদার্থের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পরিবহনের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা, পরিবেশ দুষণ প্রতিরোধে আদেশ বা নির্দেশ প্রদান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করা। পানীয় জলের মান নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান।
এছাড়া প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা, ক্ষতিকর ধোঁয়া সৃষ্টিকারী যানবাহন সম্পর্কে বাধা-নিষেধ, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাধা-নিষেধ, পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানী, মজুদকরণ, বোঝাইকরণ, পরিবহন ইত্যাদি সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ, জাহাজ কাটা বা ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট দূষণ সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ, জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ, প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিবেশ দুষক নির্গমন ইত্যাদি, প্রবেশ ইত্যাদির ক্ষমতা, নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা, পরিবেশগত ছাড়পত্র, পরিবেশ নির্দেশিকা প্রণয়ন, আপীল, দন্ড, অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট বস্তু, যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্তকরণ, ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করার ক্ষমতাও রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিবেশ দখল ও দুষণকারীদের বিরুদ্ধে শা¯স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। এবং গণশুনানি পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সময় উপযোগী উদ্যোগ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সীমাবদ্ধতা
পরিবেশ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবর্তে মহাপরিচালকের পদটিকে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। যা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন ও বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। মহাপরিচালকে পরিবেশ দুষণকারী ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ বা স্থগিত করার ক্ষমতা প্রদান জরুরি। মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষ এখনো সুপষ্ট নয়। পরিবেশ দুষণ প্রতিরোধে অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ লোকবলেরও অভাব রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বর্তমানে পরিবেশ দুষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে পরিবেশ দুষণ প্রতিরোধে এ সংস্থার অর্জন আশানূরূপ নয়। রাষ্ট্রীয় অন্যান্য সংস্থাগুলোর পরিবেশ দুষণ বা পরিবেশ সংরক্ষণে দায়বদ্ধতা সৃষ্টিতে এ সংস্থা এখনো জোরালো ও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে না। পরিবেশ সংরক্ষণে এ প্রতিষ্ঠানের অর্জন বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বাৎসরিক প্রতিবেদন বা জবাবদিহীতার ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।
পরিবেশ আদালত
পরিবেশ আদালত আইন ২০০০ সালে প্রথম প্রণীত হয়। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আইনটিতে জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়নি। উক্ত আইন অনুসারে সাধারণ নাগরিক সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারতো না। পরিবেশ আদালত শুধমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম এই দুটি বিভাগীয় শহরেই ছিল। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরও আইনটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি।
২০১০ সালে পরিবেশ আদালত আইন সংশোধিত আকারে প্রণীত হয়। এ আইনে পরিবেশ আদালত, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, আপীল আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনে পরিবেশ আদালত ও স্পেশাল ম্যাজেষ্ট্রেটের এখতিয়ার সুপষ্ট করা হয়। এ আদালতের ক্ষতিপুরণ আদায়, পরিদর্শন, আটক, জব্দ করা ক্ষমতা প্রদান করা হয়। আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা, তদন্ত, ও পরিদর্শন পদ্ধতি সুপষ্ট করা হয়। এ আদালতকে আপোষ ও মীমাংসার, অর্থদন্ড হতে খরচ বা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতাও প্রদান করা হয়।
পরিবেশ আদালত আইন ২০১০ কতিপয় বৈশিষ্ট্য
১. যে কোন ব্যক্তি সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারে।
২. পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত রয়েছে।
৩. প্রতিটি জেলায় স্থাপনের বিধান করা হয়েছে।
৪. অর্থদন্ড হইতে খরচ বা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে।
৫. আপোষ ও মীমাংসার ক্ষমতা রয়েছে।
৬. পৃথক আদালত হিসেবে মর্যাদা ও অবকাঠামো রয়েছে।
পরিবেশ আদালতের মামলার অবস্থা
বর্তমানে বিদ্যমান ৩টি পরিবেশ আদালতে গত ৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, যার ২৬টি নিষ্পত্তি হয়। ২০১০ সালে মামলা হয় ৮১টি এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯টি। ২০১১ সালে হওয়া ৮৮টি মামলার মধ্যে ১৩টি নিষ্পত্তি হয়। ২০১২ সালে ৪৮টি মামলা হয়, যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ৫টি। এছাড়া ২০১৩ সালে ৩৮টি মামলা হয়, এরমধ্যে একটিও নিষ্পত্তি করা হয়নি। ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত ৬টি মামলার সবগুলো এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। মন্ত্রী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবল স্বল্পতা, আদালত থেকে মামলা সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রাপ্তি বিলম্ব এবং সাক্ষীর অনিশ্চয়তার কারণে মামলা নিষ্পত্তির হার কম।
বিভাগ | সালে পরিবেশ আদালত আইনের অধীন মামলা | অন্যান্য | পূর্ববর্তী মামলা |
ঢাকা | ৫টি | ১০০টি | |
চট্টগ্রাম | পরিবেশ আদালতে মামলা ৩ টি | নগরীর বিভিন্ন থানায় ৪ টি | ২৪৩ টি |
পরিবেশ আদালত ও বর্তমান অবস্থা
- ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে ৩ টি পরিবেশ আদালত রয়েছে এবং ঢাকায় ১ টি পরিবেশ বিষয়ক আপীল আদালত রয়েছে।
- পরিবেশ আদালত ও সরাসরি মামলা দায়ের করার বিষয়ে অনেকের ধারণা নেই।
- ঢাকায় যুগ্ম জেলা জজের অধীনে পরিবেশ বিষয়ক আদালত ‘মামলাশূন্যতায়’ অর্থাৎ বলা যায় অনেকাংশে নিস্ত্রিয়।
- মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রের একজন কৌঁসুলি ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী রয়েছে। কিন্তু মামলার সংখ্যা কম হওয়ায় এ আদালতে এখন সাধারণ দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলারই বিচার চলে।
- আদালত নিয়ম অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজে প্রতিবেদন চান এ আদালত। কিন্তু তারিখের পর তারিখ পার হলেও অধিদপ্তর প্রতিবেদন না দেয়ায় মামলার নিষ্পত্তি আর হয় না।
- পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানার মাধ্যমে অনেক অভিযোগের নিষ্পত্তি করে দেয়। ফলে ঢাকাসহ দেশের পরিবেশ আদালতগুলোতে পর্যাপ্ত মামলা আসে না।
- পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে প্রতি সপ্তাহেই এ রকম দোষী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা আবারো একই ধরনের অপরাধে জড়ায়।
- বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ, অধিদপ্তর ও আদালতের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা ও বিচার বিলম্বিত হয় বলে ক্ষতিগ্র¯Í অনেকেই আদালতে যেতে চান না।
- দেশের প্রত্যেকটি জেলায়ই পরিবেশ বিষয়ক আদালত স্থাপন করা জরুরি। শুধুমাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে মাত্র ৩টি পরিবেশ বিষয়ক আদালত রয়েছে। আর সে আদালতগুলোও আবার মামলা শূন্য। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিবেশ দূষণের মামলার বিচারে পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখতে পারছে না।
পরিবেশ সংরক্ষণের আইনী ব্যবস্থা দেশব্যাপী থাকতে হবে
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে উচ্চ আদালত পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেছে। বিগত কয়েক বছরে পরিবেশ রক্ষায় অনেকগুলো রীট হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে দেশের অনেক প্রান্ত হতে অনেকে পক্ষেই এসে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ আদালত প্রতিকারের প্রাপ্তির ব্যবস্থাকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যাতে মানুষ সহজে নিজের এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের প্রেক্ষিতে প্রতিকারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রিট মামলা (পরিবেশ বিষয় রিট মামলার সংখ্যা)
সময় | রিটের সংখ্যা | ক্রমপুঞ্জিতরিটের সংখ্যা | নিষ্পত্তিকৃত রিটের সংখ্যা | ক্রমপুঞ্জিত নিষ্পত্তিকৃত রিট |
২০০৯ | ২৩৫ | ২৩৫ | ১০ | ১০ |
২০১০ | ১২৩ | ৩৫৮ | ০১ | ১১ |
২০১১ | ৯৬ | ৪৫৪ | ৯৮ | ১০৮ |
২০১২ | ৩৫ | ৪৯৮ | ১৬ | ১২৫ |
২০১৩ | ৭৯ | ৮৬৮ | ১১ | ১৪১ |
সুপারিশ
১. পরিবেশ আদালত সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
২. পরিবেশ আদালতে মামলায় উৎসাহ বা সহযোগিতা প্রদান
৩. স্থানীয় বেসরকারী সংস্থাদের পরিবেশ আইন ও আদালত বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো
৪. পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের ও প্রতিবন্ধকতাগুলো নিরুপন
৫. প্রতিজেলায় পরিবেশ আদালত সৃষ্টিতে জনমত সৃষ্টি
৬. পরিবেশ আদালত ও অধিদপ্তরের সমন্বয় সৃষ্টি
৭. আইন ও নীতি বিষয় সার্পোট ইউনিট তৈরি করা যেতে পারে।
৮. পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষ হতে সম্মিলিতভাবে পরিবেশ আদালতে একটি মামলার করা। যাতে বাস্তব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পরিবেশবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণে দেশের স্থানীয় জনগণ যাতে সহজে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে এ লক্ষ্যে পরিবেশবাদীদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি আজকের সভা এ বিষয়ে আরো প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও মতামত প্রদান করবে।