Thursday, July 3, 2014

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছেন ! কিন্তু ব্যবসায়ীরা অনৈতিক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিচ্ছে না কেন?


অনৈতিক বানিজ্য না, জনস্বাস্থ্য প্রধান্য পাবে বিষয়টি আজ ‍নিজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনৈতিক বানিজ্যের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিলেই আন্দোলন আর মিথ্যা প্রচারণা শুরু হয়। তারপর সব বন্ধ। একটি বিষয় নিজেকে পরিষ্কার হতে হবে, জনগনের জন্য বানিজ্য। মানুষের জীবনকে হুমকিগ্রস্ত করার জন্য বানিজ্য নয়।


ভেজাল ঔষধে বাজার সয়লাব। ঔষধে ভেজাল এটা কমন সিক্রেট। ভেজাল ঔষধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি দীর্ঘদিনের। ঔষধ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করলো। ঔষধ ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের দিলেন। অভিযোগ উঠল ঔষধ প্রশাসন ঘুষ খাওয়ার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে। বন্ধ হলো ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে কার্যক্রম। জনতা নিশ্চুপ, দলীয় রাজনীতিবিদরা এক সাথে ঘুম....

খাদ্যের যে ফরমালিনসহ যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বাড়াচ্ছে রোগ। এটা শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণাও তা বলে। এফবিসিসিআই অনেকদিন বাজারে বাজারে প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অনৈতিক ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি পুরো পুরো অস্বীকার করছে। কিন্তু সত্য ও বাস্তবতা কি আমরা সকলেই জানি।

আইন ও নীতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখলাম নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের ৭ টি বিভাগের অধীন প্রায় ২৩টি আইন রয়েছে। কিন্তু এ বিভাগগুলো তাদের দায়িত্ব পালণ করছে না। অবশেষে পুলিশ নিজ হতে এগিয়ে এলো। ফরমালিনযুক্ত ফল ধ্বংশ করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়েছে। তাদের মেশিন ভাল না। আর সহজ আর সস্তা অভিযোগ পুলিশের এ সুযোগে ঘুষ খাচ্ছে।

কেউ ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন করেছে না? মিয়া খাওয়নে ভেজাল করেন কেন? আর ভেজাল বন্ধে কোন এতদিন উদ্যোগ নেননি কেন? কারা ফরমালিন মেশায়, খাদ্যে ভেজাল করে তা ব্যবসায়ীরা ভাল করেই জানেন। তারা কেন নিজ হতে খারাপ ব্যবসায়ীয়দের ধীরয়ে দিচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে নিজেদের অপরাধ আর অক্ষমতাকে আড়াল করতে পারবে না।

সরকারে কোন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা এ সাথে হয়ে আন্দোলন করতে পারেন। যার মানুষের জীবনকে হুমকির সম্মুখীন করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন দাড়াচ্ছে না। আমরা বিশ্বাস করতে চাই এ দেশের নীতিবান ব্যবসায়ীরা অনৈতিক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাড়াবেন। তাহলে পুলিশ সহজে অপরাধীদের ধরতে পারবে। পুরাতন সস্তা অভিযোগ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে। অধিকাংশ খাদ্য ব্যবসায়ী যদি ভাল হয়, তবে গুটি কয়েক খারাপকে ধরিয়ে দিলেই চলে। যতদিন তা না হবে, ততদিন পুলিশের এ অভিযান বৈধতা পাবেই।

প্রিয় জনতা, হয় অনৈতিক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে ব্যবসায়ীদের চাপ দিন। নয়তো ভেজাল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। নয়তো পুলিশের কার্যক্রমকে সমর্থন দিন। গুড গুড আর দায়িত্বহীন হয়ে থাকার জন্য চুপ থাকলে চলবে না। একটা বিষয়ে সমর্থন দিতে হবেই।

পুলিশের এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য সৃষ্টিতে দীর্ঘমেয়াদে সম্ভাবনার পথ দেখাবে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ....